চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার: নির্ভরযোগ্য সমাধান পেতে যা জানা জরুরি

চুলকানি একধরনের অস্বস্তিকর ও বিরক্তিকর ত্বকসংক্রান্ত উপসর্গ, যা শরীরের যেকোনো অংশে দেখা দিতে পারে। এটি হতে পারে অ্যালার্জি, একজিমা, ঘামাচি, ফাঙ্গাল ইনফেকশন কিংবা ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে। অনেক সময় অন্তর্নিহিত রোগ যেমন ডায়াবেটিস বা লিভার সমস্যার উপসর্গ হিসেবেও চুলকানি দেখা দিতে পারে। সমস্যাটি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে, তবে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের উপযোগী কিছু ঔষধ ব্যবহারে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে একটি পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য নাম। তাদের ডার্মাটোলজিক্যাল পণ্যগুলোর মধ্যে অনেক কার্যকর চুলকানির ওষুধ পাওয়া যায়, যা চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের কাছে প্রায়ই সুপারিশকৃত। চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার কোম্পানির উৎপাদিত কিছু জনপ্রিয় ও কার্যকর পণ্যের তালিকায় দেখা যায়:

Betnovate Cream (Betamethasone): এটি একটি কর্টিকোস্টেরয়েডজাত ক্রিম, যা চুলকানি, র‍্যাশ, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদির প্রদাহ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবহারে ভালো ফল দেয়।

Terbico Cream (Terbinafine): ফাংগাল ইনফেকশন বা ছত্রাক সংক্রমণজনিত চুলকানির জন্য এই অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিমটি অত্যন্ত কার্যকর। ঘামাচি, দাদ, পায়ের চুলকানি প্রভৃতি সমস্যায় এটি ব্যবহৃত হয়।

Clovit Cream (Clobetasol Propionate): শক্তিশালী কর্টিকোস্টেরয়েডযুক্ত এই ক্রিমটি দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের প্রদাহ বা চুলকানিতে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়।

Candiderm Cream: এটি একটি ট্রিপল অ্যাকশন ক্রিম, যার মধ্যে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড। মিশ্র সংক্রমণজনিত চুলকানিতে এটি ভালো কাজ করে।

এইসব ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই সমস্যার প্রকৃতি বুঝে নেওয়া জরুরি। ত্বকের চুলকানি সাময়িক মনে হলেও এর পেছনে জটিল কারণ থাকতে পারে। ভুল ওষুধ বা স্টেরয়েড ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া বা এলার্জির ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই ওষুধ ব্যবহারে চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা এবং রোগ অনুযায়ী সঠিক সমাধান গ্রহণ করাই সর্বোত্তম। স্কয়ারের ঔষধগুলি মানসম্পন্ন এবং সহজলভ্য হলেও, নিজে থেকেই চিকিৎসা না নিয়ে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।